ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস (গায়ক)
জন্ম নাম | ফারুক মাহফুজ আনাম[১] | ||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | ২ অক্টোবর ১৯৬৪ নওগাঁ, রাজশাহী, বাংলাদেশ |
||||||||||||
পেশা | |||||||||||||
কার্যকাল | ১৯৮০–বর্তমান | ||||||||||||
সঙ্গীত কর্মজীবন | |||||||||||||
আরো যে নামে পরিচিত |
গুরু, জেমস, নগরবাউল | ||||||||||||
ধরন | |||||||||||||
বাদ্যযন্ত্রসমূহ | |||||||||||||
লেবেল | |||||||||||||
প্রাথমিক জীবনজেমসের জন্ম নওগাঁয়, তবে তিনি বেড়ে ওঠেন চট্টগ্রামে।[৩] তার বাবা ছিলেন একজন সরকারি কর্মচারি, যিনি পরবর্তীতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সঙ্গীত জেমসের পছন্দের হলেও তার পরিবার তা পছন্দ করত না। গানের জন্য বাবার সাথে অভিমান করে ঘর ছাড়েন তিনি কিশোর বয়সে।[৪] চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিং নামক একটি বোর্ডিং-এ তিনি থাকতে শুরু করেন। সেখানে থেকেই তার সঙ্গীতের ক্যারিয়ার শুরু হয়। কিছু বন্ধুদের নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ফিলিংস নামক একটি ব্যান্ড এবং ব্যান্ডের প্রধান গিটারিস্ট ও কন্ঠদাতা হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন। কর্মজীবনবাংলাদেশচট্টগ্রাম থেকে শুরু হওয়া ব্যান্ড দল ফিলিংস এর মাধ্যমে তিনি প্রথমে খ্যাতি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি নগর বাউল নামে ব্যান্ড দল গঠন করেন। তিনি নগর বাউল এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বাংলা ভাষায় তিনিই প্রথম সাইকিডেলিক রক শুরু করেন। গিটার বাজানোতেও তিনি দারুণ পটু। তিনি নগরবাউল ব্যান্ডের মূল ভোকাল ও গিটারিষ্ট হলেও তিনি মূলত তার সলো ক্যারিয়ারকেই বেশি গুরত্ব দেন। অনেক গীতিকার তার জন্য সঙ্গীত রচনা করেছেন। যাদের মধ্যে কবি শামসুর রহমান, প্রিন্স মাহমুদ, শিবলি উল্লেখযোগ্য। কর্মজীবনের প্রথম দিকে তিনি জিম মরিসন, মার্ক নফলার এবং এরিক ক্লাপটনের মত সঙ্গীত শিল্পীদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন। ১৯৮৭ সালে ফিলিংস ব্যান্ডের সাথে তার প্রথম অ্যালবাম “স্টেশন রোড” মুক্তি পায়। ১৯৮৮ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম একক অ্যালবাম অনন্যা। পরবর্তীতে তিনি ফিলিংস ব্যান্ডের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দেন “নগর বাউল”।বলিউডবাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতে কাজ করার কারণে পশ্চিম বঙ্গেও খুব জনপ্রিয় ছিলেন জেমস। সেই সূত্রে ২০০৪ সালে বাঙালি সঙ্গীত পরিচালক প্রিতমের সাথে মিলিত হন তিনি। ২০০৫ সালে বলিউডের গ্যাংস্টার নামক একটি চলচ্চিত্রে তিনি প্লেব্যাক করেন। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া “ভিগি ভিগি” গানটি ব্যপক জনপ্রিয়তা পায় এবং এক মাসেরও বেশি সময় তা বলিউড টপচার্টের শীর্ষে ছিল।।[৫] ২০০৬ সালে তিনি ও লামহে নামক চলচ্চিত্রে “চল চলে” গানে কন্ঠ্য দেন। ২০০৭ সালে তিনি লাইফ ইন এ মেট্রো চলচ্চিত্রে আবারও প্লেব্যাক করেন। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া গান দুইটি হল রিশতে এবং আলবিদা (রিপ্রাইস)। সর্বশেষ হিন্দি চলচ্চিত্রে তিনি প্লেব্যাক করেছেন ওয়ার্নিং নামক চলচ্চিত্রে। তার গাওয়া বেবাসি গানটি মুক্তি পায় ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে।[৬][৭][৮]মডেলিং২০০০ সালের প্রথম দিকে জেমস পেপসির একটি বিজ্ঞাপন চিত্রে অংশগ্রহন করেন। এটিই ছিল তার কাজ করা প্রথম বিজ্ঞাপন চিত্র। এই বিজ্ঞাপনটি বাংলাদেশ এবং পশ্চিম বঙ্গে প্রচার করা হয়। এরপর তিনি ২০১১ সালে এনার্জি ড্রিংক ব্ল্যাক হর্সের বিজ্ঞাপনে কাজ করেন। বলিউড চলচ্চিত্র লাইফ ইন এ মেট্রোর কিছু অংশে জেমসকে দেখা যায়। যেখানে তিনি একটি ব্যান্ডের সদস্য চরিত্র কিছু অভিনয় করেন। ২০১৩ সালে ওয়ার্নিং চলচ্চিত্রের বেবাসি গানের ভিডিও চিত্রেও কাজ করেন জেমস। সেখানে তিনি নিজের গাওয়া গানের সাথে ঠোঁট মিলিয়েছেন।ব্যক্তিগত জীবনজেমসের প্রথম স্ত্রীর নাম রথি। ২০০২ সালে তারা আলাদা হয়ে যান এবং জেমস বিয়ে করেন বেনজির সাজ্জাদকে।[৯] যার সাথে ১৯৯৯ সালে একটি কনসার্টে তার প্রথম সাক্ষাত হয়। জেমসের দুইটি কন্যা সন্তান (জান্নাত এবং জাহান) ও একটি পুত্র সন্তান (দানেশ) আছে। [১০] [১১]রেড ডট এন্টারটেইনমেন্টজেমস গাজী আহমেদ শুভ্রর সাথে রেড ডট এন্টারটেইনমেন্ট নামক একটি প্রডাকশন হাউস পরিচালনা করেন। এই প্রডাকশন হাউস ২০১১ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য বিউটিফুল বাংলাদেশ নামে একটি ভিডিও বিজ্ঞাপন চিত্র তৈরি করে। রেড ডট এন্টারটেইনমেন্ট প্রচুর রিয়ালিটি শো প্রযোজনা করেছে। এর মধ্যে দ্য রকস্টার ২, লাক্স চ্যানেল-আই সুপারস্টার, কে হতে চায় কোটিপতি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া রেড ডট টেলিভিশন বিজ্ঞাপন চিত্রও নির্মাণ করে।ডিস্কোগ্রাফিফিলিংস
নগর বাউল
একক[১২]
হিন্দি চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক
বাংলা চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক
পুরস্কার ও মনোনয়নমেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার
চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড - ২০১৭ জেমস ফ্যান ক্লাবগুরু জেমস এর নামে গঠিত হয়েছে জেমস ফ্যান ক্লাব । ২৭ জুন ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু হয় এই ক্লাবের। অনুষ্ঠানে নগরবাউল এর সদস্যরা ছাড়াও ছিলেন ব্যান্ডের বিজনেস ম্যানেজার রুবাইয়াত ঠাকুর রবিন সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার, গীতিকার কবির বকুল , শফিক তুহিন, দিনাত জাহান মুন্নী, কনা এবং জনপ্রিয় ব্যান্ড শিল্পী হাসান সহ আরো অনেকেই।গুরু-জেমস দেশে বাইরে অবস্থান করায় তিনি শ-শরীরে উপস্থিত হতে পারেন নি। ক্লাব সদস্য সূত্রে জানানো হয়, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে জেমস ফ্যান ক্লাব। এসব কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশের পরিবেশ রক্ষায় সবুজায়নের পক্ষে কাজ করা, শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়ন, অটিজম শিশু ও সুবিধাবঞ্চিত ছিন্নমূল পথশিশুদের সার্বিক উন্নয়ন, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং ও সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধের জন্য প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা, সুবিধাবঞ্চিত সহায়সম্বলহীন বয়োবৃদ্ধদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং দেশে ও বহির্বিশ্বে বাংলা গানের সম্মানজনক প্রচার-প্রসারে কাজ করা। সেই সাথে সারা দেশের জেমস ভক্ত কে একত্রিত করবে জেমস ফ্যান ক্লাব। ক্লাব টি পরিচালিত হয় গুরু জেমস এর "পাগলা ভক্ত" খ্যাত প্রিন্স মোহাম্মদ এর দ্বারা এবং এই ক্লাবের ফেইসবুক পেইজ ও গ্রুপ দেখা শোনার দায়িত্বে আছে আসাদুজ্জামান অন্ত তথ্যসূত্র
|
Comments
Post a Comment